আন্তর্জাতিক অঙ্গনে “আইসিটি জগতের অস্কার” বলে খ্যাত অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে দারুন অর্জন। গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় APICTA Award 2017 এর ১৭তম অধিবেশন।

মির হোসাইন
Great Congratulation’s for Great person
Abul Kalam Azad
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে “আইসিটি জগতের অস্কার” বলে খ্যাত অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান বাংলাদেশের জন্য বয়ে এনেছে দারুন অর্জন। গত ১০ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় APICTA Award 2017 এর ১৭তম অধিবেশন।
আইসিটি বিষয়ক বেশ কয়েকটি ক্যাটেগোরীতে পুরষ্কৃত করা হয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশ ও সংগঠনগুলোকে। সেখানে Government and Public Sector ক্যাটেগোরীতে বাংলাদেশ অর্জন করে নিয়েছে ২টি অ্যাওয়ার্ড।
[<GREAT CONGRATULATIONS to DIGITAL DG HEALTH of DIGITAL BANGLADESH -- Prof.Dr. Abul Kalam Azad Sir for Winning Prestigious APICTA Merit Award For HRIS DATABASE Among 22 Countries from Asia Pacific Region .>]
With Thanks & Great CONGRATS!
এর মধ্যে একটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয় এর অধীনস্ত বিশেষ সফটওয়্যার ট্যুল HRIS (central Human Resource Information System), প্রচলিত ভাবে যাকে HRM Software বলা হয়, সেটি অর্জন করেছে এই বিশেষ সম্মানের এই অ্যাওয়ার্ড।
সফটওয়্যার টুলটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান Activation Ltd. এর সিইও জনাব রায়হান সিকদার রাজন জানান, নিঃসন্দেহে এমন পুরষ্কার দেশের জন্য অশেষ গর্বের। এ পুরষ্কার প্রমাণ করে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় অন্যান্য সব দেশের জন্য একটি অনুকরণীয় মডেল হয়ে রইলো।
তবে এ সকল কিছুর মূল ভাবনা, পৃষ্ঠপোষকতা ও সৃজনশীলতায় যে মানুষটির নাম অগ্রগণ্য তিনি হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বর্তমান #মহাপরিচালক_অধ্যাপক_আবুল_কালাম_আজাদ স্যার। তাঁর ব্যতিক্রমী ভাবনা, স্বচ্ছতা, প্রযুক্তি সম্পৃক্ততা ও উদ্ভাবনী শক্তির সফল প্রয়োগ ঘটেছে আমাদের HRIS এ। ফলে সহজ হয়ে প্রযুক্তিনির্ভর মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উন্নত হয়েছে ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবার পরিসর।
এদিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমআইএস এর এমবিটি বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ মারুফুর রহমান অপু রাজবাড়ীবিডি ডট কম-কে জানান, পুরষ্কার যে কোন কাজের জন্য একটি স্বীকৃতি।
অধিদপ্তরের এইচআরএম সিস্টেমটি একটি ইউনিক সফটওয়্যার ট্যুল যার মাধ্যমে অত্যন্ত স্বচ্ছ, তড়িৎ ও নিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে প্রযুক্তিনির্ভর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শ্রদ্ধেয় মহাপরিচালক এবং এমআইএস এর শ্রদ্ধেয় পরিচালক সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করছি।
অ্যাকটিভেশন আইটি’র পক্ষ থেকে আরো জানানো হয় যে, বিশ্বের প্রায় ২২ টি দেশের মধ্যে প্রতিযোগিতায় মাত্র ভগ্নাংশ ব্যবধানে হংকং প্রথম ও বাংলাদেশ দ্বিতীয় হয়। বিশেষ করে এতো দ্রুত সময় প্রযুক্তিনির্ভর মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার মডেল তৈরী করা এবং একটি সম্পূর্ণ নতুন ‘হেলথ মিডিয়া আর্কাইভ’ নির্মাণকে সাধুবাদ জানান আন্তর্জাতিক বিচারকবৃন্দ।
এ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ‘মিডিয়া মনিটোরিং সেল‘ এর প্রাক্তন ফোকাল পার্সন ও কো-অর্ডিনেশন অ্যান্ড সাপোর্ট সেন্টার (সিএসসি) প্রতিনিধি ডাঃ রাজীব দে সরকার এর যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান যে, প্রতিদিন স্বাস্থ্য বিভাগ নিয়ে আমরা ভালো মন্দ নানা খবর শুনি।
কিন্তু জবাবদিহিতার এ যুগে কোন তথ্যকে আর ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। আমার এবং আমার দলের সম্মানিত সদস্যদের কাজই ছিলো স্বাস্থ্যখাতের এই তথ্য বা খবরগুলোকে বিশেষ ট্যুল দিয়ে আর্কাইভিং করা এবং একটি ফীডব্যাক প্রদান করা। সেই ফীডব্যাক একদিকে যেমন পৌছে দেওয়া হতো টার্গেট প্রতিষ্ঠানের কাছে, অন্যদিকে তা পৌছে যেতো মন্ত্রনালয় বা অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছে।
অধিদপ্তরের সম্মানিত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ স্যারের সুস্পষ্ট নির্দেশনা ছিলো, রেজপন্সিভ হয়ে নয় বরং প্রো-অ্যাকটিভ হয়ে কাজ করতে হবে এবং আমার দল সেটাই করেছে এবং বর্তমানে করে যাচ্ছে। আমি বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের প্রধান বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাঃ বে-নজির আহমেদ স্যার এবং পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ সমীর কান্তি সরকার স্যারকে।
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সকল মহলে আলোচিত হচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের এই অর্জন। বিশেষ করে হংকং, জাপান, অষ্ট্রেলিয়া, চায়নার মতো হেভি ওয়েট আইটি নির্ভর দেশ গুলোর সাথে টেক্কা দিয়ে এই অর্জন জাতি হিসেবে আমাদের জন্য এক অসামান্য প্রাপ্তি। যথোপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সরকারের অন্যান্য বিভাগও এই উৎকর্ষ অর্জন করবে এমন আশা সংশ্লিষ্ট সকলের।
Share on Google Plus

About 222

0 comments:

Post a Comment