কিছুদিন অন্তর দেখি ফেসবুকে আন্দোলন চাই, সময় বেশি নাই বলে সিএইচসিপিরা রাজপথে আন্দোলনের কথা বলতে। বিগত সময়গুলিতে বার বার এমন বলতে দেখেছি ও শুনেছি। আসলে সময় বেশি নাই বলে তাড়াহুড়ো করে শেষমেষ ০ থেকেও মাইনাস পজিশনে চলে যায়। অথচ তখন থেকেই যদি সময় নিয়ে সাংগঠনিকভাবে জোরালো কার্যক্রমের মাধ্যমে অগ্রসর হতো তাহলে আজ রাজপথে ঠিকই নেমে যেতে পারতো। এখনো সময় বেশি নেই এটা ঠিক নয়।২০১৮ সালকে সময় ধরে নিন। ৬ মাস সংগঠনের ধারাবাহিকতা ঠিক করুন। রাজপথে ২/৪/৫ দিনের কার্যক্রম মাত্র। ৬ মাস যত কষ্ট করবেন, শেষ ৪/৫ দিনে তারই প্রতিফল পাবেন। এখনই যদি সময় নেই বলে শুধূ ফেসবুকে আন্দোলনে নামেন আন্দোলনে নামেন বলে সাফাই গাইতে থাকেন, আর নির্দিষ্ট সময়ে ফলাফল ০(শুন্য)। কি লাভ হলো? বছর খানেক ধরে সিএইচসিপিদের কেন্দ্রীয় কমিটির নামে এত বদনাম এলো, আর্থিক বানিজ্য, সাংগঠনিক কর্মকান্ডের কোন বালাই নেই, ফেসবুক নির্ভর কমিটির কার্যক্রম(তা আবার মনড়গা), কামাল সরকারকে জুতা মারা ইত্যাদি। তারপরেও দেখলামনা সেই কেন্দ্রীয় কমিটির কামাল শহিদুলকে একটা সাংগঠনিক সভা করতে। দেখলামনা কোথাও কোন কর্মকর্তার সাথে একটা আলোচনায় মিলিত হতে। তাহলে কে করবে আন্দোলন? কেন্দ্রীয় একটি ফোরাম ছাড়া কখনো আন্দোলন সম্ভব? কখনোই না। তাড়াহুড়ো করে সাংগঠনিক ফোরামে ছাড়া কখনো কোন আন্দোলন হয়না।
কিছূদিন হলো একটি ফোরামকে দেখছি কিছুটা হলেও সঠিক পথে চলার চেষ্টা করছে।সিএইচসিপি এ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছে। সদ্য দেখলাম তারা সহকর্মী পলাশ হত্যার পরে তার সহধর্মীনীকে চাকুরী প্রাপ্তীর চেষ্টা করতে। বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরী রাজস্বকরনের জন্য দৌড়ঝাপ করতে। আমার বিশ্বাস এই আহবায়ক কমিটির কার্যক্রমকে সকলে সহায়তা করলে কিছূদিনের মধ্যে একটা ভাল ফ্লাটফর্ম তৈরী হবে। আর তখনই কোন আন্দোলনের ডাক দিলে সফলতা আসতে পারে।
সিএইচসিপি এ্যাসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির আহবায়ক এইচবিএম শাহিন(নারায়নগঞ্জ) অনেক চেষ্টা করছেন সকল জেলা, বিভাগ থেকে সঠিক পথের অনুসারী সিএইচসিপিদের সহযোগীতা নিতে। আমি আশা করি সঠিক পথের সেই সকল সিএইচসিপিরা শাহিন ভাইকে সহযোগীতার মাধ্যমে সিএইচসিপির কল্যানে ভুমিকা রাখতে। সকলের নাম আমি বলতে পারবোনা। তবে ফেসবুকের লেখার বিভিন্ন বিশ্লেষনে ও কারো কারো সাথে যোগাযোগের ভিত্তিতে যাদের সহযোগীতা পেলে একটা শক্তিশালী সিএইচসিপি ফোরাম তৈরী হতে পারে তারা হলো- আশরাফুল ইসলাম(মুন্সিগঞ্জ), শহিদুল ইসলাম(গাজীপুর), লিটন সরকার (মুন্সিগঞ্জ),জাহাঙ্গীর আলম(চাদপুর),জেসমিন সুলতানা পুস্প(কিশোরগঞ্জ),আফাজ উদ্দিন লিটন( বগুড়া),মাকসুদুর রহমান (ভোলা), আওলাদ হোসেন(নারায়নগঞ্জ), মহিবুল ইসলাম(নরসিংদী),মোক্তার হোসেন (যশোর), কাজী হেলাল উদ্দিন (কুমিল্লা),মোস্তাফিজুর রহমান (রাজশাহী),জয়নাল আবেদিন (চিটাগাং), প্রীতম দেবনাথ(ফেনী), রফিকুল ইসলাম (পিরোজপুর),হাছিবুর রহমান(গোপালগঞ্জ),হানিফুল (রংপুর), শাহানারা(নড়াইল), ওয়াসিম, রাজিব মন্ডল সহ আরো অনেকে। আপনারা যত বেশি একত্রিতভাবে একে অপরের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে এইচবিএম শাহিন ভাইকে সামনে দিয়ে অগ্রসর হবেন, তত দ্রুত কার্যক্রম প্রসূত একটি ফ্লাটফর্মে ফৌছাতে পারবেন।
৬ মাস কাজ করেন। ৭/৮ মাসের মাথায় আন্দোলনের ডাক দিন। আশাকরি সফলতার মূখ দেখবেন। শূধূ রাজপথে নামলেই আন্দোলন সাকসেস হয়না। কৌশলে সেই আন্দোলনে অনেক ফোরামকে সমর্থনের জন্য নিজেদের মাঝে রাজপথে অংশ নেওয়ার পরিকল্পনা রাখতে হবে। মিডিয়া কভারেজ হাই লেভেলে রাখতে হবে। এসব কাজের পরিকল্পনা তাড়াহুড়া করে, ভাসমান থেকে কখনোই সম্ভব নয়। যতক্ষন না একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক ফ্লাটফর্ম ভুমিকা রাখছে।
0 comments:
Post a Comment