আল ফুরকান লিটন।। যারা আনন্দ করতেছে তাদেরকে নিয়ে মুষ্টিময় কিছু সহকর্মী তিরস্কার করতেছে!ছন্দময় জ্ঞানের ফুলঝুরি ছড়াচ্ছে,বিধি ভাগ্য লিখছে,রাজা পর্যবেক্ষণ করতেছে, আর থার্ড ক্লাস প্রজারা মসকারা করে,বাহ্ বাহ্!!কারন কি?ভালো না লাগলে চাকরিটা ছেড়ে দেনতো দেখি?যারা আনন্দ করতেছে তারা কি আন্দোলনে যায়নি?
হে অবশ্যই গিয়েছিলো,তারাও আপনাদের সাথে ১ মাস ১০ দিন রাজপথে ছিলো রাজস্ব পাওয়ার জন্য কিন্তু কপালে ছিলো না,তাই রাজস্ব পাওয়া হলো না,কারন যিনি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্ম দিয়েছেন তিনিই চাননি,যেহেতু ৪০ দিন কেঁদেও কোন কাজ হয়নি,তাই ৪০ বছরও যদি প্রলাপ বকেন কোন লাভ হবে না বরং ক্ষতিটাই বেশি হবে।কিন্তু মমতাময়ী মাতা আমাদের খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি।
নির্বাচনের আগ মুহুর্তে হলেও আমাদের জন্য সংসদে নতুন করে আইন পাশ করে সরকারি সকল সুযোগ সুবিধার বিধান রেখে স্থায়ীকরণের ব্যবস্থা করেছেন,
যা আমার মতো বয়স চলে যাওয়া লোকের জন্য লাক্ষ-কোটি শুকরিয়া,"আলহামদুলিল্লাহ্"!
আর গতকাল যারা সংসদ অধিবেশন দেখেছেন তারাই বুঝতে পেরেছেন,বিলটি পাশ হয়েছে একমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহোদয়ের আন্তরিকতায়!এমপি মহোদয়বৃন্দর কথা শুনে মনে হচ্ছিলো কমিউনিটি ক্লিনিকের নাম তারা প্রথম শুনছেন!
যাই হোক এতকিছুর পরেও যে দ্রুততার সাথে বিলটি পাশ করাতে পেরেছেন সেই জন্য মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মহোদয়কে আবারও ধন্যবাদ জানাই।
আপনার যদি মেধা ভালো থাকে,চাকরির বয়স যদি থেকে থাকে,উপড় মহলে যদি মামা,খালু থেকে থাকে তাহলে এই চাকরির পাশাপাশি আরো ভালো চাকরির জন্য চেষ্টা করুন!কিন্তু বেঁফাস মন্তব্য না করে,আমার মতো বয়স চলে যাওয়া সহকর্মীদের একটু স্বস্তিতে থাকতে দিন,আমাদেরকে আর হতাশার সাগরে নিমজ্জিত করবেন না,প্লীজ!!
আর হে,একটি কথা মনে রাখবেন,ইট মারলে, পাটকেল খেতে হয়,আপনার আর আমার মতো থার্ড ক্লাস চাকরিজীবী সারা জীবন মন্তব্য করেও এক চুল পরিমান সিদ্ধান্তের পরিবতর্ন আনা সম্ভব না,বরং নিজের পায়ের নিচের মাঠিটা নরম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি(কিন্তু মাঠি সরবেনা কারন ডিজি মহোদয় যে মাঠির মানুষ)!
যেখানে মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ইচ্ছেই সব,এমনকি সংসদে আইনও পাশ হয়েগেছে,সেখানে এখনও আমরা একে অপরকে দোষারোপ করতেছি!৪০ দিন তো একসাথে কম কাঁদিনি?আসলেই(সিএইচসিপি)আমরা আজব এক জাতি!
আমার কথাগুলো বাস্তব হলেও অনেক কঠোর হয়েগেছে,সেই জন্য মাফ করবেন,সহকর্মীবৃন্দ।
"নিজের ভালো পাগলেও বুঝে আমরা কেন নয়?"!
"পজিটিভ কথা বলবো পজেটিভ চিন্তা করবো"!
পরিশেষে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই,
"কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্ট আইন-২০১৮" মহান জাতীয় সংসদে পাশের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) দের চাকুরী স্থায়ীকরন করায় গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, গনতন্ত্রের মানসকন্যা, কমিউনিটি ক্লিনিকের রুপকার, জননেত্রী শেখ হাসিনা'কে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা
মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী জনাব মোহাম্মদ নাসিম
মাননীয় প্রতি মন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক
মাননীয় ডিজি অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ স্যার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়।
ডাঃ আবুল হাসেম খাঁন স্যার
মাননীয় লাইন ডিরেক্টার
সিবিএইচসি।
0 comments:
Post a Comment